May 3, 2024, 6:52 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই ডাকাতসহ ৫ জন গ্রেফতার মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে, আট প্রার্থীর মানোনয়ন পত্র জমা গরমে তরুণ তরুণীদের শরবত, ঠান্ডা পানি বিতরণ সুজানগরে লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণে সেমিনার ও প্রদর্শনী পাইকগাছায় মহান মে দিবস পালিত পাইকগাছায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা ; ধর্ষক গ্রেপ্তার পাইকগাছা পৌরসভার পক্ষ থেকে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ;উত্তাপ কমাতে পানি দেওয়া হয় সড়কে পাইকগাছায় আধা কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জনই গলাচিপার প্রতিবন্দ্বী ফজর পেল দোকান করার মালামাল
কেশবপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারেশগণের সংবাদ সম্মেলন

কেশবপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারেশগণের সংবাদ সম্মেলন

মোঃ জাকির হোসেন,কেশবপুরঃ কেশবপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের ওয়ারেশগণ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগে ১৮এপ্রিল দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের ভাইয়ের ছেলে উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম রিপন বলেন, ১৯৪৪ সালে কেশবপুর মৌজার হাল ৬৪৫ ও ৬৪৬ দাগে ৩৫ শতক জমির মালিক তারা প্রসাদ ২০৩৪ নং রেজিঃকৃত পাট্টা দলিলমূলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পিতা ইব্রাহিম বিশ্বাসের কাছে হ হস্তান্তর সহ দখল বুঝে দেন। ইব্রাহিম বিশ্বাস উক্ত দলিলমূলে নালিশী ২৭১ নং দাগের ৩৫ শতক জমি ৩ছেলে গহর আলী, অহর আলী, বাকের আলী ও গহর আলীর ছেলে রেজাউল হককে ওয়ারেশ রেখে মারা যান। তৎকালিন তহশীলদার ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারেশগণকে নালিশী জমি থেকে বেদখল করার ষড়যন্ত্র চালালে তারা কালেক্টরের কাছে আপত্তি দাখিল করেন। ১৯৫৯ সালের ১১ডিসেম্বর আদেশে নালিশী জমি অধিগ্রহণযোগ্য নয় মর্মে সিদ্ধান্ত দেয়। উপরোক্ত বাকের আলী রায় বর্ণিত ৩০ থেকে ৪০ নং বাদীপক্ষকে এবং রেজাউল হক ১৭ থেকে ২২ নং বাদীপক্ষকে ওয়ারেশ রেখে মারা যান। রায়ে বর্ণিত ১ থেকে ১৭ ও ৩৪ নং বাদীপক্ষ নালিশী জমিতে খরিদা ও ওয়ারেশ সূত্রে স্বত্ত্ববান ও দখলকার হয়ে বসতবাড়ি হিসেবে বসবাস ও দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য ও ভাড়া প্রদান করে আসতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর তফশীল জমি আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হলে দেখা যায়, সরকারি এক নং খতিয়ানে উক্ত জমি রেকর্ড হয়েছে। এরপর ২০০২ সালে কেশবপুর পৌরসভার তৎকালিন মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়ায় আমাদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর আদালতে মামলা করা হয়। দীর্ঘদিন পর গত ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ যশোর সহকারি জজ আদালতের রায় ও ডিগ্রী মোতাবেক মৃত ইব্রাহিম বিশ^াসের ওয়ারিশগণই হাল- ৬৪৫, ৬৪৬ নং দাগের ৩৫ শতকের মধ্যে ১৮ শতক জমির প্রকৃত মালিক বলে বায় প্রদান করেন। এ নিয়ে আমরা দুটি রায় পেয়েছি। রায় পাবার পরই আমরা ওই নালিশী জমির নামপত্তন করার জন্যে সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে আবেদন করেছি। বর্তমানে শহীদ পরিবারের ১৭ জন ওয়ারেশই ওই ১৮ শতক জমির প্রকৃত মালিক।
সিরাজুল ইসলাম রিপন আরও বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়েও দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরা এ হয়রানিমূলক মামলার খরচ যোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যাতে ওই জমির দখল বুঝে পেতে পারি তার জন্য প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পরিবারের ওয়ারেশগণ উপস্থিত ছিলেন।

বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভ^াবনা
কেশবপুরে জলাবদ্ধতায় ১১ হাজার মেট্রিকটন
ধান উৎপাদন থেকে বি ত হচ্ছে কৃষক
মোঃ জাকির হোসেন,কেশবপুরঃ কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। তবে মৎস্য ঘেরের সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ১ হাজার ৪শ‘৩০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ না হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার ৭শ‘২৫ মেট্রিকটন ধান কম উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। ফলন না হওয়া ধানের বাজার মূল্য ২ কোটি ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
সারা দেশের মধ্যে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত উপজেলা হিসেবে কেশবপুর উপজেলার পরিচিতি দীর্ঘদিনের। ধান খেতের মাঠগুলো এখন সোনালী রঙের আভায় এক অপরূপ সাজিয়েছে। বোরো ধানের সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। সেচ, আগাছা পরিষ্কারসহ সকল কাজ সম্পন্ন করে এখন ধান ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভোর এ উপজেলার হাজারো কৃষক। পুরো উপজেলায় এবার হাইব্রিড ছাড়াও উফশী ব্রি-ধান- ২৮, ব্রি-ধান- ৫০, ব্রি-ধান- ৬৩, ব্রি-ধান- ৭৪, ব্রি-ধান- ৮৮ ও ব্রি-ধান- ১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশী। কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১৪ হাজার ৫‘শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ধানের উৎপাদন ধরা হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩শ‘০৭ মেট্রিকটন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলেও মৎস্য ঘেরের সৃষ্ট জলাবদ্ধার কারণে বিলের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন সম্ভব না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৪শ‘৩০ হেক্টর কম জমিতে ধানের চাষ হয়। এরমধ্যে হাইব্রিড- ৪ হাজার ১শ‘৭০ হেক্টর ও উফশী- ৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় ্এবার ১০ হাজার ৭শ‘২৫ মেট্রিকটন ধান কম উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ঘেরের পানি নিষ্কাশন সম্ভব না হওয়ায় উপজেলার বাগডাঙ্গা, পাঁজিয়া, কালিচরণপুর, বিলখুকশিয়া, কাটাখালি, মনোহরনগর, নারায়নপুর , হদ, তেঘরি,পর্চক্রা ও বাউশলা বিল এলাকার হাজারো কৃষক এবছর বোরো ধানের আবাদ করতে পারেনি। ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, তাদের গরালিয়া বিলের জমি ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদের কাছে লিজ দেয়া হয়েছে। ঘের মালিক মাছ চাষের জন্যে প্রতি শুষ্ক মৌসুমে ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে ঘের ভরাট করে। আবার ইরি বোরো মৌসুমে স্যালো মেশিন দিয়ে ঘেরের পানি নিষ্কাশন করলে কৃষকরা ধান আবাদ করে। জলাবদ্ধতার কারণে বিলের ১ হাজার বিঘা জমিতে এবার বোরো আবাদ হয়নি। তেঘরী গ্রামের মাওলানা মছিউর রহমান জানান তাদেও এলাকার বিলে ধান চাষ করতে নাপারার কারন মৎস্য ঘের মালিকরাই দায়ী।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, পাউবো নদী খাল খনন করলেও শ্রীনদীর নাব্যতা না থাকায় তা আবারও পলীতে ভরাট হয়ে গেছে। যে কারণে ঘেরের পানি নিষ্কাশন সম্ভব না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৪শ‘৩০ হেক্টর কম জমিতে ধানের আবাদ হয়। কৃষকের চাহিদামত সার, বীজের কোনো ঘাটতি ছিল না, আবহাওয়াও ছিল অনুকুলে। ইতোমধ্যে উপজেলার অনেক এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন।

মোঃ জাকির হোসেন
কেশবপুর,যশোর

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD